,

সদর হাসপাতালে দুই জনের মৃত্যু :: করাতে হলো ইসিজি

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে এসে মরেও শান্তি পাওয়া যায় না। নতুন ডাক্তারদের খামখেয়ালীর কারণে অনেকেই লাশ নিয়ে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে পুলিশ পড়ে বিপাকে। গতকাল বুধবার সদর আধুনিক হাসপাতালে এরকম ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সচেতন মহলের মাঝে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অনেক লোক জানান, ডাক্তার দেবাশীষ দাস, মিঠুন রায়সহ কয়েকজন ডাক্তার বিষপান, গলায় ফাঁস, সড়ক দুর্ঘটনা ও বিদ্যুতস্পৃষ্টসহ বিভিন্ন রোগী হাসপাতালে এলে তারা ধরেই বলে দিতে পারেন কে মারা গেছে, কে জীবিত আছে। কোনো পরীক্ষা লাগে না। অথচ নতুন কয়েকজন ডাক্তারকে জরুরি বিভাগে দেয়া হয়েছে। তারা এসব রোগী এলেই ইসিজি ছাড়া মৃত্যু ঘোষণা করেন না। এতে করে ম”ত ব্যক্তির সাথে আসা স্বজনরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে। অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, মরে গিয়ে বেঁচে গিয়েছে। আমাদেরকে মেরে গেছে। এ কারণেই তারা মৃত ঘোষনার পরপরই ভোগান্তির কারনে লাশ বাড়ি নিয়ে যান। আর চিঠি পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ এসে লাশ খুঁজতে গিয়ে বিপাকে পড়ে। গতকাল বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া গ্রামের মো. আব্দুল আলীর কন্যা ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ঝর্না আক্তার (১২) কে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে নতুন এক চিকিৎসক তাকে প্রথমে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ওই ছাত্রীকে ইসিজি করাতে বলেন। ঘণ্টার ঘণ্টা ইসিজি করাতে না পেরে বিরক্ত হয়ে লাশ নিয়ে যায় পরিবার। সদর থানায় চিঠি যাবার পর এসআই সনক কান্তি দাশসহ মহিলা পুলিশ এসে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে লাশ খুজতে থাকেন। ঘন্টাখানেক খোঁজার পর তিনি জানতে পারেন লাশ নিয়ে স্বজনরা চলে গেছে। পরে বানিয়াচং থানার ওসিকে বিষয়টি অবগত করেন। শহরের ঘাটিয়াবাজার এলাকার স্বর্গীয় দ্বীনবন্ধু চৌধুরীর সুপ্রভা চৌধুরী (৮০) হারপিক পানে মারা যান। তার বেলাতেও একই ঘটনা ঘটে। তবে তারা লাশ নিয়ে চলে যান। দুপুরে মারা গেলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইসিজির জন্য লাশ নিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় অপেক্ষমান আছেন। এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল মমিন চৌধুরী জানান, এসব মরার ক্ষেত্রে ইসিজির প্রয়োজন হয় না। তবে রোগীর স্বজনরা চাইলে ইসিজি করাতে পারেন। খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।


     এই বিভাগের আরো খবর